বিচারপতি ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন,
বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে উপকৃত হয়েছে সাংবাদিকদের সহায়তায়, প্রচারণার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু তার আন্দোলনকে প্রচার করতেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান সাংবাদিকরা লিস্টেড হোক, তাদের তথ্য প্রেস কাউন্সিলে থাকবে তারা সব কিছু ডিল করবে। তালিকাভূত্তি চলমান প্রক্রিয়া। নিয়োগপত্র ছাড়া কেউ সাংবাদিকদের তালিকাভূক্ত হতে পারবে না। সাংবাদিকদের গ্রাজুয়েট হতে হবে। ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে গ্রাজুয়েট না হলেও চলবে। আমরা এটি চেষ্টা করছি। সারাদেশের মিডিয়া হাউজে চিঠি দিয়েছি।
আজ বুধবার দিনব্যাপী রংপুর সার্কিট হাউজে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. নিজামুল হক নাসিম এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় হলুদ সাংবাদিকতা বিষয়ে মুল আলোচনা করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কমকার।
তিনি বলেন, প্রেস কািউন্সিল ডাটাবেজ করা হচ্ছে। ৩২ জেলার তালিকা পেয়েছি। বাছাই ও তালিকা হবে। কাজ চলছে। প্রথমে আমরা সারা পায়নি। সবাই তালিকার আওতায় আছে কিন্তু সাংবাদিকরা বাহিরে। ইচ্ছেমত লোকদের এরপেশায় আনা হচ্ছে তাদের উপযুক্ততা নাই। প্রকাশনার মধ্যে লিষ্ট নাই, তখন তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হাবিবুল হাসান রুমি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, জেলা তথ্য অফিস সহকারী পরিচালক আলমগীর কবির ।
এসময় সাগত বক্তৃতায় বলেন, প্রেস কািউন্সিল ডাটাবেজ করা হচ্ছে। সাংবাদিকতা চ্যালেঞ্জিং পেশা। আপনারা সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। সাংবাদিকদের পরিচালনা করা দরকার। ১৯৭৪ সালের ১৪ ফেব্রুযারী প্রেস কাউন্সিল আইন পাশ হয়। এই আইন প্রতিষ্ঠার পর দেশে প্রেসের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে সংবাদপত্রের মান সংরক্ষন ও উন্নয়ন।
এসময় প্রেসক্লাবের সভাপতি মোনাব্বর হোসেন মনা,সাধারণ সম্পাদক মেরিনা লাভলীসহ ৫০ জন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালা শেষে বিচারপতি ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. নিজামুল হক নাসিমের হাত থেকে প্রত্যয়ন পত্র গ্রহণ করে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ।