: সারা দেশে জামায়াত-বিএনপি’র ডাকা টানা তিন দিনের অবরোধের প্রথম দিন মঙ্গলবার সকাল থেকেই শেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে জেলার বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
দেশব্যাপী চলমান অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শেরপুর সদর উপজেলার নন্দীর বাজার মোড় এলাকায় জেলা পুলিশ কর্তৃক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তা পরিকল্পনা তদারকি করেন, পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম।
পুলিশ সুপার জানান, কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটাতে পারে সেজন্য শেরপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নাশকতা বা কোন ধরনের অপতৎপরতা যেন নাঘটাতে পারে সেজন্য আমরা সতর্কতার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। পরিদর্শনের সময় পুলিশ সুপার পুলিশের অন্যান্য সদস্যদের করণীয় ও বর্জনীয় বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং সতর্কতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. খোরশেদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাইদুর রহমানসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে জেলার সব রাস্তাতেই ট্রাক, মিনি ট্রাক, মিনিবার বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল করছে দেখা গেছে।
শেরপুর শহরের থানা মোড়, অষ্টুমীতলা মোড়, খোয়ারপাড় মোড়, গৌরিপুর ও নবী নগর বাস টার্মিনাল, নিউ মার্কেট মোড় এলাকাসহ সব এলাকাতেই সব ধরনের যানবাহন ছিল অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক।
এদিকে যাত্রী সংকটের কারণে দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। অবরোধ কর্মসূচি দেয়া হলেও বিএনপি ও জমায়াতের কোন নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি।
অনুরোপ ভাবে জেলার নকলা, নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদীতে শেরপুরের পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম (পিপিএম) এর নির্দেশে স্ব-স্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার তত্বাবধানে প্রতিটি শহরের প্রধান প্রধান মোড়ে পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি আনসার ভিডিপি’র সদস্যদেরকেও সর্তক অবস্থায় দ্বায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।