এটি বিজ্ঞাপন এর স্থান spot_img

বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদে মরিয়া মোরেলগঞ্জে এক শিক্ষকের কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ সহোদর

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে নাশকতা ও অস্ত্র মামলার আসামি এক মাদ্রাসা শিক্ষকের কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ আপন ছোট ভাইয়ের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদে মরিয়া, বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এ হয়রানিমূলক মামলা থেকে রক্ষা পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী কৃষক হেলাল খানের পরিবার।

প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামের মৃত. জব্বার খানের ছোট ছেলে কৃষক হেলাল খানকে তার পিতার দেওয়া ০. ৮ শতক জমির বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য মরিয়া আপন বড় ভাই এনায়েতিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারি মৌলভি শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান খান। ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে বাড়ি লুট সহ দুটি মামলা করে সর্বশান্ত করেছে আপন ছোট ভাইকে।

হেলাল খান জানান, তার পিতা জীবিত থাকাকালীন তার মাকে নিয়ে পিতার বসত ঘরে দীর্ঘ ৮/১০ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। ওই বসত ঘরটির ০.৮ শতক জমি ২০২০ সালে তার নামে দলিল করে দেন তার পিতা। যার দলিল নং-২৫৮৬। বর্তমানে সে ঘরে অসুস্থ ক্যান্সার আক্রান্ত বৃদ্ধ মাতা সুফিয়া বেগম (৭৫) কে নিয়ে বসবাস করছেন। তারই আপন ভাই মাদ্রাসা শিক্ষক মিজানুর রহমান খান বৃদ্ধ মাতাকে ভরণ-পোষন না দিয়ে উল্টো মায়ের নিকট থেকে টাকা নিয়ে ফেরৎ না দিয়ে তালবাহনা করছে।

অর্থের অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না। নকল কাগজপত্র তৈরী করে ওই বসতঘর থেকে উচ্ছেদের জন্য তাদের উপরে হামলা সহ একের পর এক হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে আসছে। সর্বশেষ বাগেরহাট বিজ্ঞ সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৬ অক্টোবর-২০২৩ হয়রানিমূলক বাড়ি লুটের অভিযোগ এনে হেলাল খানকে প্রধান আসামি করে আরও একটি মামলা দায়ের করেন।

প্রভাবশালী মিজানুর রহমানের বাড়ি থেকে ২০১৯ সালে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অবৈধ দেশী অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। যার মামলা নং ০২, তারিখ-০৩.০৩.২০১৯ সে মামলায় ৯ মাস জেল হাজত খেটে জামিনে বেরিয়ে আসে।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় ২টি নাশকতা মামলা আদালতে বিচারাধিন রয়েছে। শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে তার বৃদ্ধ মাতা ও ভাই কৃষক হেলাল খান স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার পায়নি। ভুক্তভোগী হেলাল খানের পরিবারটি প্রভাবশালী ভাইয়ের লোকজনের আতংকে থাকতে হয়। ভাইয়ের হয়রানিমূলক মামলা থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, নাশকতা ও অস্ত্র মামলা জামিনে রয়েছেন। এ মামলাগুলো সাজানো হয়েছে। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার ভাইয়ের সাথে পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। #

- Advertisement -spot_img

Related Articles

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ

- Advertisement -spot_img