২২ দিনের অবরোধের পর যখন প্রতীক্ষার পালা শেষ হতে দুতিন দিন বাকি ঠিক তখনই দুর্বৃত্তদের আগুনে জেলেদের সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা জাল ও বিপুলড়পরিমাণ মূল্যবান দড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ছাই হয়ে গেছে স্বপ্নসুতোয় বোনা তাদের ভবিষ্যৎ।
সোমবার ভোর রাতে উপজেলার ১০ নং নলটোনা ইউনিয়নের আজগরকাঠি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করতে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। জেলেরা নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীর তীরে মাছ ধরার প্রস্তুতি স্বরূপ ট্রলার ও জাল নদীর তীরে গুছিয় রাখেন। সোমবার ভোর রাতে দুর্বৃত্তরা নদীর তীরে রাখা জালে আগুন ধরিয়ে দেয়।
কদিন ধরে একটু একটু করে শীতের প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় আজগরকাঠি বাজারের দোকানদার আ: সালাম দোকানে রাত্রি যাপন না করে বাড়িতে রওয়ানা হন। বাড়ি যাওয়ার পথে নদীর তীরে রাখা ইলিশ ধরার জালে আগুন দেখে ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী আ: সালাম বলেন, আমি রাতে দোকানে ঘুমাই, হঠাৎ শীত পড়ায় বাড়িতে ঘুমানোর উদ্দেশ্যে বাড়ি যাওয়ার সময় নদীর চরে জালে আগুন দেখতে পাই। ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ট্রলার ও জালের মালিক মো. আবুল কালাম বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীর তীরে ট্রলার জাল গুছিয়ে রাখা হয়। আজ ভোর রাতে দুর্বৃত্তরা জালে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার জাল ও দড়ি আগুনে পুড়ে যায়। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ট্রলার ও জাল ক্রয় করি। তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে সাগরে বসে স্থানীয় জেলে মো. আবুল কালামের মাঝি-মাল্লার সাথে সাথে জাল ও দড়ি নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। সেই ঝামেলাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার সালিশ বৈঠক হয়। আজকে সালিশির রায় ঘোষণার কথা । তার আগেই দুর্বৃত্তরা আমার জাল-দড়ি গুলো পুড়ে দিয়েছে। তবে এ ঘটনায় আমার তাদের কে সন্দেহ হচ্ছে। আমি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি।।
এ ঘটনায় বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান মিজান বলেন, মৌখিকভাবে শুনেছি জেলেদের জাল ও মূল্যবান দড়ি দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।