শারদীয় দুর্গোৎসবের ৯ দিনের ছুটি শেষে আজ (রবিবার) খুলেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)।তবে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু হলেও বন্ধ রয়েছে পরিবহন সেবা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল সূত্রে জানা যায়, রবিবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) পরিবহন সেবা সীমিত থাকবে। তবে ক্লাস পরীক্ষা চলমান থাকবে। যদিও এ বিষয়ে কোন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি প্রশাসন।
এদিকে পরিবহন সেবা সীমিত রেখে একাডেমিক কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা মনে করেন, এতে তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি ভোগান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল মোমেন জানান, ক্লাস-পরীক্ষা চালু রেখে বাস চলাচল সীমিত করার কারনটা কি আমার বোধগম্য নয়। আমার মনে হয় আমাদের অভিভাবক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত আমাদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছে। এককভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া অপেক্ষা একত্রে বাসে যাওয়াটাকে আমি নিরাপদ মনে করি। আশা করি ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নোবিপ্রবি প্রশাসন আরো সর্তক হবেন।
সাইদুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন হরতাল বোধহয় প্রশাসন দিয়েছে,এরকম সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বাড়ছে বহুগুন।
অনেক স্টুডেন্ট এর আর্থিক সমস্যা আছে। তাদের পক্ষে গাড়িভাড়া দিয়ে গিয়ে ক্লাস, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাটা কষ্টকর হয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন,বিএনপি জামাতের হরতালের সাথে একাত্মতা পোষন করেছে কিনা আমাদের প্রশাসন আমার জানা নেই,তা না হলে একটা গাড়ী ৪ টায় ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে আবার সাথে সাথে কেন ক্যাম্পাসে ব্যাক করতে হবে?
সন্ধ্যার পরেও কি হরতাল পালনে সহায়তা করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবহন সেবার পরিবহন উপদেষ্টা ড.কাওসার হোসেন বলেন,উদ্ভত পরিস্থিতির কারনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । তাঁকে প্রশ্ন করা হলে এই সিদ্ধান্ত কি শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত কিনা আপনার কি মনে হয়? তখন তিনি বলেন আমার কিছুই মনে হয়না।তোমার আরো কিছু জানার থাকলে প্রক্টরের সাথে কথা বলো।