বিশ্বকাপে গতরাতে টেন্নাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১ উইকেটের নাটকীয় জয়ের পর নিজেদের সৌভাগ্যবান দাবী করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা।
২৭১ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ উইকেটে ২০৬ রান তুলে জয়ের পথে ভালই এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ৯১ রানে আইডেন মার্করামের আউটের পর পাকিস্তানের সামনে জয়ের ক্ষীণ আশা জেগেছিল। শেষ উইকেটে কেশব মহারাজ (৭*) ও তাবরাইজ শামসি (৪*) অপরাজিত থেকে শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকাকে ছয় ম্যাচে পঞ্চম জয় উপহার দেন। এই জয়ে আবারো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে প্রোটিয়ারা।
এই জয়ে নিজেদের সত্যিকারার্থেই সৌভাগ্যবান দাবী করে বাভুমা বলেন, ‘আমি মনে করি আজকের এই জয়ে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই নিজেদের প্রমান করেছি। এ ধরনের রান তাড়া করতে সাধারণত যা প্রয়োজন হয় আমরা সেসব কিছুই করার চেষ্টা করেছি। তারপরও আমি বলবো এখানে আমাদের দল কিছুটা হলেও ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছে। আমরা তাদেরকে ম্যাচে ফিরে আসার সুযোগ দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা সেটা কাজে লাগাতে পারেনি।’
পঞ্চম উইকেটে ডেভিড মিলারের (২৯) সালে ৭০ রানের পার্টনারশীপ গড়েন মার্করাম। ৪ উইকেটে ১৩৬ থেকে ২৬০ রানেই দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে।
পাকিস্তান এ পর্যন্ত ছয় ম্যাচের চারটিতেই পরাজিত হয়েছে। সেমিফাইনালে খেলতে হলে বাকি তিনটি ম্যাচে পাকিস্তানের সামনে জয়ে বিকল্প নেই।
কাল শেষ মুহূর্তে খেলোয়াড়রা নিজেদের মানসিক ভাবে শক্তিশালী রেখেছে উল্লেখ করে বাভুমা বলেন, ‘এই ম্যাচ থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটা দিয়েই খেলে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি শেষ মুহূর্তে আমরা দারুন খেলেছি, আমরা সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে যাচ্ছি। এই ধরনের রান তাড়া করতে হলে যা করার প্রয়োজন আমরা সেটা করে দেখিয়েছি, এটা সবাই স্বীকার করবে। কেশব ও শামসি আমাদের জন্য শেষটা করে দেখিয়েছে।’
প্রোটিয়া অধিনায়ক আরো বলেন, ‘আজ সৃষ্টিকর্তা আমাদের সাথে ছিলেন। কিন্তু শুরু থেকেই রানের গতি ঠিক রাখলেও শেষে গিয়ে কিছুটা চাপে পড়তে হয়েছে। দ্রুত কিছু উইকেট পড়ে গিয়েও ম্যাচটি কঠিন হয়ে গিয়েছিল।’
প্রথমে ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকা এ পর্যন্ত টুর্নামেন্টে চার ম্যাচে জয়ী হয়েছে। ২৪৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে নেদারল্যান্ডের কাছে তারা অঘটনের স্বীকার হয়। বাভুমা জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার রাগবি দলই তাদের এই জয়ের পিছনে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে, ‘আমি মনে করি সম্প্রতি রাগবি দল যেভাবে খেলছে সেখান থেকেই আমরা সবাই অনুপ্রানীত হয়েছি। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা দুর্দান্ত খেলেছে, এমনকি সেমিফাইনালেও তারা যেভাবে নিজেদের প্রমান করেছে তাতে তাদের প্রশংসা করতেই হয়। এখন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে শেষ লড়াইয়ের অপেক্ষা। তাদের এই ধরনের পারফরমেন্স সত্যিই আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার। তারা এমন একটি দল যারা কখনই প্রতিপক্ষকে ছেড়ে কথা বলেনা।’