বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হয়েছে দেশের মেগা প্রকল্প বাগেরহাটের রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২য় ইউনিট ।দেশের বিদ্যুতের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি ও স্বল্পমূল্যে বিদ্যুতের সহজলভ্যতার জন্য ২০১৩ সালে এই কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অনুমোদন পায়।
নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে প্রথম ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর এবার ২য় ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে কেন্দ্রটি।এর থেকে ৫০০ মেগাওয়াট জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কর্তৃপক্ষ ।
১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ প্রথম ইউনিট জাতীয় গ্রিডের সাথে যুক্ত হওয়ার ১০ মাসের মাথায় বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হতে শুরু করেছে ২য় ইউনিট এবং খুব শীঘ্রই বানিজ্যিক ভাবে উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে বলে দাবী বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংশ্লিষ্টদের । এই কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হয়ে কম খরচে দেশের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হওয়ায় সব থেকে আলোচনা সমালোচনার বিষয় ছিল পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে।তবে কতৃপক্ষ পরিবেশের বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েছেন ।
১৭ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের উৎপাদিত ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ৪০০ মেগাওয়াট গোপালগঞ্জের আমিন বাজার হয়ে ঢাকার জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হওয়ার ১০ মাস পর ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ২য় ইউনিটের ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হলো। কর্তৃপক্ষ বলছেন মৈত্রী পাওয়ার প্রজেক্টে বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা পুরনের পাশাপাশি এলএনজি ও অন্যান্য তরল জ্বালানীর তুলনায় এটি কম দামে পাবেন গ্রাহকরা।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় কয়লা মজুদ রয়েছে ।পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় কয়লা আমদানীর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির সিজিএম শান্তনু কুমার মিশ্রা জানান যেহেতু সুন্দরবন আমাদের সন্নিকটবর্তী তাই পরিবেশের যেন ক্ষতি না হয় সে সকল বিষয়ে লো সালফার যুক্ত উন্নত কয়লা ব্যবহৃত হচ্ছে তাই পরিবেশ নিয়ে যারা চিন্তা করছেন তাদেরকে আশ্বস্থ করতে চাই রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পরিবেশের কোন ক্ষতি হবেনা।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক অতনু দত্ত জানান মৈত্রী পাওয়ার প্রজেক্ট বাংলাদেশে স্বল্প খরচে বিদ্যুতের চাহিদা পূরন করবে ।
২০১৩ সালের আগষ্ট মাসে এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অনুমোদন পায় । বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের য়ৌথ বিনিয়োগে রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা ।
দেশকে বিদ্যুতে স্বয়ং সম্পূর্ণ করতে এই মেগা প্রকল্প শুরু হয়েছিল ।এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটের উৎপাদিত বিদ্যুৎ এখন দেশের বিদ্যুতের কাংখিত চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করতে সক্ষম হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের ।