সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষনপুর বাড়াইশাল পাড়ার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তৎকালীন আনছার সদস্য শহীদ আবুল বাশার (বাছের উদ্দিন)কে১৯৭১ সালের তুলে নিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী। এরপর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে হানাদাররা।
স্বাধীনতার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও শহীদ তালিকাভুক্ত থাকা সত্বেও স্বজনরা পায়নি শহীদের পরিবারের মর্যাদা।
শহীদ আবুল বাশার (বাছের উদ্দিন) মেয়ে আছিয়া বেগম বলেন, আমার পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও তৎকালীন আনছার সদস্য ছিলেন। আমার বাবকে খান বাহিনি তুরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে আমরা আমাদের বাবার লাশ দাফন করতে পারিনি ।
শহীদ বাছের উদ্দিরনেরন ছেলে নাইমুল বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর পর আমরা ছয় ভাই-বোন খুবই ছোট ছিলাম। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে পারিনি । শহীদের তালিকায় আমার বাবর নাম থাকা সত্বেও আমরা পায়নি শহীদ পরিবারের মর্যাদা। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক। তাই সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, আমরা শহীদ পরিবার হিসাবে স্বীকৃত চাই ।
বীরমুক্তিযোদ্ধো আব্দুল মান্নান(বেল্লা) বলেন, শহীদ আবুল বাশার (বাছের উদ্দিন)একজন শহীদ যুদ্ধের সময় তাকে পাকহানাদার বাহিনী বাসা থেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে । বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের শহীদের তালিকায় বাছের উদ্দিন এর নাম রয়েছে কি কারনে তাঁর স্বজনরা শহীদ পরিবারে মর্যাদা পাচ্ছেনা আমি জানি না । স্হানীয় মুক্তিযোদ্ধারা তারঁ পরিবারের সঙ্গে আছে।
বীরমুক্তিযোদ্ধো আজগার রহমান বলেন, আবুল বাশারকে স্হানীয়রা বাছের উদ্দিন নামে চিনি, সে একজন শহীদ। আমার জানা মতে তিনি তৎকালীন আনছার সদস্য ছিলেন। যুদ্ধ চলাকালিন সময় পাক হানাদার বাহিনী তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে হত্যা করে । প্রকৃত পক্ষে বাছের উদ্দিন এর সন্তানরা শহীদ পরিবারের সন্তান।