হবিগঞ্জ হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগীর চাপ। হাসপাতালে ভর্তি অধিকাংশ শিশুই জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, শাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে দেখা দিয়েছে শয্যাসংকট। ফলে হাসপাতালের মেজে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে অনেককে।
এসব রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নার্সদের। হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের তথ্যমতে, বর্তমানে সেখানে ২০০ শিশুরোগী ভর্তি রয়েছে। আর গত চারদিনে চিকিৎসা নিয়েছে ২১৮ জন।
শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র নার্স জোছনা আক্তার জানান, হাসপাতালে ভর্তি অধিকাংশ শিশু ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। এদিকে রোগীর চাপ থাকায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। শয্যা না থাকায় অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ওয়ার্ড ও রিসিপশনের মেজে, লিফটের সামনে এবং সিঁড়িতে বিছানা করে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে।
বানিয়াচং থেকে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু বাচ্চার অভিভাবক মইনুল হক বলেন, ‘আমার বাচ্চার প্রচণ্ড জ্বর। হাসপাতালে এসে সিট পাইনি। প্রচণ্ড জ্বরের মধ্যে সিঁড়িতে রাত কাটানোর কারণে ঠান্ডা আরও বেড়েছে। সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে বাচ্চা আরও অসুস্থ হয়ে গেছে।
সদর উপজেলার লুকড়া এলাকার মুনিয়া আক্তার বলেন, ‘এখানে ঠিকমতো চিকিৎসা পাওয়া যায় না। মানুষ বেশি থাকার কারণে নার্সরা চিকিৎসা দিতে পারছেন না। বাচ্চার কি ওষুধ লাগবে না লাগবে তারা খোঁজখবর নেওয়ার সময় পান না।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আমিনুল হক সরকার বলেন, ‘অতিরিক্ত রোগীর চাপ থাকায় মেজেতে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া চিকিৎসক ও নার্সদেরও হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবু আমরা রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’তিনি আরও বলেন, ‘এখন আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। এ সময়টাতে শিশুদের আলাদা যত্ন নিতে হবে। তারা যেন ঘেমে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং সব সময় সুতি কাপড় পরাতে হবে।’