ভাবতেও অবাক লাগে পুলিশের ওপর পুলিশং বা খবরদারির কথা ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সর্ব উত্তরের সিমান্তবর্তী জেলা নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায়।
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ প্রশাসন জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়েছেন, যাতে কোনরকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে বিরোধী শক্তিরা। তাই সেই রুপ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে নীলফামারীর জেলা পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু এক শ্রেণির টাউট বাটপার এবং গুজব সৃষ্টিকারী সরকারের এই সফলতা বিনাশ করতে মরিয়া হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় নীলফামারীর ডিমলা থানার চৌকস পুলিশ অফিসার, থানা ইনচার্জ লাইছুর রহমান কে হেনস্তা করতে সাজানো মিথ্যা নাটক রচনা করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার ব্যর্থ চেষ্টা করছেন বলে এলাকায় চাউর হয়েছে।
ঘটনার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সিমান্ত লাগোয়া পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের জেলে পাড়ার ওবায়দুল ইসলাম বাদি হয়ে পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের মধ্যে ছাতনাই এলাকার আব্দুল হকের বখাটে ছেলে নুর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন যে, তার সপ্তম শ্রেণীর কন্যাকে উক্ত বখাটে ছেলে শারীরিক হেনস্তা করার মুহূর্তে শিক্ষার্থীর চিৎকারে এলাকার পথচারী এগিয়ে এলে বখাটে পালিয়ে যায়। এই মর্মে অভিযোগ করেন যে, অভিযোগ নেয়ার পর তদন্ত কর্মকর্তা উৎকোচ দাবি করেন কিন্তু আরেকটা পক্ষ থানার অফিসার ইনচার্জ কে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা নাটকের সূচনা করেন। একই উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের উত্তর কাঁকড়া মান্নান চেয়ারম্যান পাড়ার সামিকুল ইসলামের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম থানায় অভিযোগ দাখিল করেন যে, একই পাড়ার তমিদুল ইসলাম রাতের আঁধারে ঘরে প্রবেশ করে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এই ঘটনা কে ভিন্ন পথে ধাবিত করতে এবং থানা অফিসার ইনচার্জ লাইছুর রহমান কে হেনস্তা করতে এখানেও নাটকের সূচনা করেন।
একই ইউনিয়নের নিজ পাড়ার জামাল উদ্দিনের স্ত্রী বিউটি বেগম জমি সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ করেন যে, তার জমিন অবৈধভাবে একই এলাকার মৃত লুতফর রহমানের ছেলে সফিকুল ইসলাম গং দখলে নেয়ার চেষ্টা করে, এবং মামলা গ্রহণ করতে তদন্ত কর্মকর্তা গড়িমসি করেন, এখানেও ওসি কে হেনস্তা করতে মিথ্যা অপবাদ লেপ্টে দেন।
এবিষয়ে এলাকার আইনুল বলেন, ঘটনা জেনে আমরাও অবাক হয়েছি, ডিমলা থানা অফিসার ইনচার্জ লাইছুর রহমান একজন ভালো মনের মানুষ, সব বিষয়ে উনি সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুজিয়ে কথা বলেন।
এই বিষয়ে ডিমলার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজার রহমান বলেন, অফিসার হিসেবে উনি খুবই ভালো, ওনার অফিসে গেলে যে কেউ বলবে লোকটা ভালো। কার মনে কি আছে জানিনা, তবে একজন উপযুক্ত পুলিশ অফিসার।
এবিষয়ে ডিমলা থানা পুলিশ অফিসার ইনচার্জ লাইছুর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট এবং সাজানো। তার সকল ভিডিও ফুটেজ প্রমাণ করে সে সম্পূর্ণ ভাবে নির্দোষ।
এবিষয়ে নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার গোলাম সবুর পিপিএম বলেন, তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। সকল ভিডিও ফুটেজ অনুসন্ধান করে সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।