শিরোপা অক্ষুন্ন রাখতে আত্মবিশ্বাসী বেয়ারস্টো

 

 

এক রাতের মধ্যেই ইংল্যান্ড মোটেই খারাপ দল হয়ে যায়নি এবং খেলোয়াড়রাও বিশ্বকাপ শিরোপা ধরে রাখার ব্যপারে এখনো আত্মবিশ্বাসী বলে দাবী করেছেন দলটির ওপেনার জনি বেয়ারস্টো। বিশ্বকাপের দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের পর ইংল্যান্ড দল নিয়ে সমালোচনার জবাবে বেয়ারস্টো এ মন্তব্য করেছেন।

তিন ম্যাচ থেকে ইংল্যান্ড দুই পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। সেমিফাইনালে যেতে হলে গ্রুপ পর্বে বাকি থাকা ছয় ম্যাচের মধ্যে অন্তত পাঁচটিতে জিততেই হবে ইংল্যান্ডকে। শনিবার মুম্বাইয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে তাদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। দিল্লিতে আফগানিস্তানের কাছে ৬৯ রানের হতাশাজনক পরাজয়ের পর প্রোটিয়া চ্যালেঞ্জ একটুই কঠিনই মনে হচ্ছে ইংলিশদের।

যদিও বেয়ারস্টোর দাবী পুরো দলের আত্মবিশ্বাস অটুট রয়েছে। একসাথে এই দলটি নিজেদের সেরা খেলা খেললে যেকোন প্রতিপক্ষকেই হারাতে সক্ষম মনে করছেন তিনি । এ সম্পর্কে বেয়ারস্টো বলেন, ‘গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এভাবেই দল শিরোপা জিতেছিল। ২০১৯ বিশ্বকাপেও ইংল্যান্ডের জয়ের পিছনে কারন রয়েছে। আমরা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরাজয়ের অর্থ এই নয় যে আমরা বাজে খেলছি। ফজলহক ফারুকির আইপিএল রেকর্ড খেয়াল করুন। আফগান দলে তিনজন এমন রেকর্ডধারী স্পিনার রয়েছে। শুধুমাত্র আফগানিস্তানে খেলার কারনে তাদের নিয়ে হয়তো এতটাই হইচই পড়েনা। কিন্তু তাদের দলে বিশ্বমানের খেলোয়াড় রয়েছে। তারা সবাই ম্যাচ উইনার। আমরা ঐ ম্যাচে পরাজিত হয়েছি, খুব একটা ভাল খেলতে পারিনি। আমরা সেটা মেনে নিয়েছি। কিন্তু এখন সময় সামনে এগিয়ে যাবার।’

গত আট বছর ধরে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন-আপ যেভাবে প্রতিপক্ষ দলগুলোর উপর প্রভাব বিস্তার করেছে সেই ধারা এখনো বজায় আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে বেয়ারস্টো বলেছেন, ‘আমি মনে করিনা দলে খুব বেশী পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের ব্যাটিং লাইন-আপই দলের মূল শক্তি। আমার কাছে মনে হয়না তাদের নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারন আছে। আমরা শুধুমাত্র নিজেদের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।’

রোববারের পরাজয়ের পর ব্রিটিশ গণমাধ্যম ও সম্প্রচার মাধ্যমগুলোতে পুরো দল নিয়ে ব্যপক সমালোচনা হয়েছে। কিছু কিছু পত্রিকায় তো খেলোয়াড়দের গলফ কোর্সে কম সময় দিয়ে নেটে বেশী সময় দেবার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বেয়ারস্টো বলেন, ‘এসব শুনেও আমাদের খেলোয়াড়রা শান্ত আছে। আত্মবিশ্বাস এমন একটি বিষয় যা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তার উপর প্রভাব পড়ে। একটি ম্যাচে পরাজিত হলেই এই বিষয়গুলো সামনে চলে আসে। ২০১৯ সালে আমরা শ্রীলংকার কাছে হেরেছিলাম। একই বছর পাকিস্তানের কাছেও হেরেছি। কিন্তু তারপরও শিরোপা জিতেছিলাম। এবারও আমাদের আত্মবিশ্বাস অটুট রয়েছে। আর এই আত্মবিশ্বাসই আমাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles


Notice: ob_end_flush(): Failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home11/onzcfyam/public_html/wp-includes/functions.php on line 5464