শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে পঞ্চগড় সরকারি শিশু পরিবারের দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার ( ১৮ অক্টোবর) দুপুরে সরকারি শিশু পরিবার, বালক, পঞ্চগড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিনের দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেন ।
এ সময় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির, পঞ্চগড় শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, মোঃ আখতারুজ্জামান, পঞ্চগড় জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক, আবু তাহের মোঃ সানাউল্লাহ নুরী, পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজর, সাবেক, অর্থনীতি বিভাগের, বিভাগীয় প্রধান, হাসিনুর রহমান বাবু, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক অনিরুদ্ধ কুমার রায়সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত থেকে বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন আজ। শিশু-কিশোরদের কাছে রাসেলের জীবন সম্পর্কে তুলে ধরতে তার জন্মদিনকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বছর রাষ্ট্রীয়ভাবে তৃতীয়বারের মতো ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’পালন করা হচ্ছে। শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’এবার এ দিবসের প্রতিপাদ্যকে নিয়ে বুধবার পঞ্চগড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদরের সন্তান শেখ রাসেলর জন্মদিন পালিত হয় ।
এ সময় বক্তার আরও বলেন, আজ শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে তার বয়স হতো ৬০ বছর। ঘাতকরা তা হতে দেয়নি। কেরে নেওয়া হয়েছে তার শৈশব তার কৈশর।বাবার স্নেহ মায়ের মমতা বোনের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করেছে হায়েনাদের দল।যার দগ দগে ক্ষতের স্মৃতি এখনো বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন শিশু রাসেলের বোন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কি অপরাধ ছিলো শিশু শেখ রাসেলের। তার ফুটফুটে মায়াবি মুখের দিকে তাকিয়ে হত্যাকারীদের কি একটুও হাত কাঁপেনি। সত্যিকার অর্থে হত্যাকারীরা তো মানুষ ছিলো না তারা ছিলো মানুষ রুপি পশু নরপিশাচ। শিশু-কিশোরদের মাঝে দু বছর আগে থেকে শেখ রাসেলের জীবন সম্পর্কে তুল ধরতে তাঁর জন্মদিনকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। এ সময় বক্তারা আরও বলেন, ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে জন্মগ্রহণ করেন শেখ রাসেল। আর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতক চক্র জাতির জনকসহ সপরিবার নির্মম ভাবে হত্যা করে। রেহাই পায়নি ওই রাতেঁ ১১ বছরের শিশু শেখ রাসেল। শেখ রাসেল, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন । তিনি জানতেন সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে নতুন প্রজন্মকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলত হবে।