যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে ও জেলা ক্রীড়া অফিস ঢাকা-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শেষ হলো সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ৭ দিন ব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।
মঙ্গলবার রাজধানীর মোহাম্মদ শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে এক জমকালো অনুষ্ঠানে মাধ্যমে সাঁতার শেখা প্রায় ৫০ জন ছেলে-মেয়ের হাতে তুলে দেয়া হয় সার্টিফিকেট। ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে বসবাসকারী শিশুরা এই সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেন। বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের তাদের নিজস্ব কোচ দিয়ে এই কর্মসূচিতে সহযোগিতা করে।
সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা সাঁতার শিখতে পেরে দারুণ খুশি। সার্টিফিকেট এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শিশুদের নিজেদের অনুভূতি জানিয়ে বলেন, ‘আমরা অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকেই বঞ্চিত। তবে সাঁতার শেখা থেকে এখন আর বঞ্চিত নই। আমরা সাঁতার শিখতে পেরে খুবই খুশি। এর মাধ্যমে আমরা নিজেদের জীবন রক্ষার কৌশল শিখে নিলাম। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ইউনিসেফকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের জন্য এমন আয়োজন তারা করেছেন।’ শিশুরা শুধু সার্টিফিকেট পেয়েই খুশি নন; তারা মোহাম্মদ শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠের সুইমিং পুলে নেমে সাঁতার কেটে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন।
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য এমন আয়োজন স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন ইউনিসেফের প্রতিনিধি শিশু সুরক্ষার বিভাগের ম্যানেজার এলিসা কলপনা। প্রতি বছর লাখ লাখ শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এটা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে তার জন্যই এই আয়োজন বলে উল্লেখ করেন এলিসা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ফজলে এলাহিও এই আয়োজনের ভূঁয়সী প্রশংসা করেন। এই কাজে ইউনিসেফ এগিয়ে আসায় তাদের ধন্যবাদও জানান সচিব। জেলা ক্রীড়া অফিসার (ঢাকা) রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মনিরা হাসান শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি, মজিবুর রহমান, অধ্যক্ষ শারীরিক শিক্ষা কলেজ, সানজিদা ইসলাম, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর, চাইল্ড প্রটেকশন সেকশন (ময়োস)।