২০২৮ লস এ্যাঞ্জেলেস(এলএ) অলিম্পিকে ক্রিকেট ফেরা সময়ের ব্যপার ছিল। গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কাউন্সিলের (আইওসি) সভায় পাঁচটি নতুন ইভেন্টের অনুমোদনও মিলেছিল। বাকি ছিল শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক ঘোষনা। গতকাল মুম্বাইয়ে আইওসির সেশনে ভোটের মাধ্যমে এলএ’তে ক্রিকেটের অন্তর্ভূক্তির অনুমোদন দেয়া হয়।
ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি ফর্মেট অলিম্পিকে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য এলএ আয়োজকদের প্রস্তাব গত সপ্তাহে আইওসি কার্যনির্বাহী বোর্ড অনুমোদন দিয়েছেন। ক্রিকেটের সাথে নতুন আরো চারটি ইভেন্ট বেসবল/সফটবল, ফ্ল্যাগ ফুটবল, স্কোয়াশ ও ল্যাক্রোস অনুমোদন পেয়েছে।
তবে চূড়ান্ত ঘোষনার জন্য সোমবার আইওসি সেশনের ভোটের প্রয়োজন ছিল। সেশনে শুধুমাত্র দুইজন প্রতিনিধি নতুন ইভেন্টের বিপক্ষে তাদের ভোট দিয়েছেন।
আয়োজকরা ছয় দলের ক্রিকেট ইভেন্টের প্রস্তাব দিয়েছে। পুরুষ ও নারী উভয় বিভাগেই তাদের প্রস্তাব ছিল ডঁ-টোয়েন্টি ফর্মেটে।
সর্বশেষ ১৯০০ প্যারিস অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভূক্ত ছিল, যেখানে ফ্রান্সকে পরাজিত করে স্বর্ণ পদক জিতেছিল ব্রিটেন।
বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা ও আর্থিক দিক বিবেচনায় অলিম্পিক মুভমেন্টের অংশ হিসেবে ক্রিকেট অন্তর্ভূক্তি সময়ের ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার আকর্ষণীয় ক্রিকেট বাণিজ্য বিশ^ জুড়েই বেশ আলোচিত একটি বিষয়। এর মধ্যে ইন্ডয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল)বিশে^র প্রায় সব তারকা খেলোয়াড়ই অংশ নিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে ক্রীড়ার মাধ্যমে বিশ^জুড়ে ভারতের বিশাল মার্কেটও তৈরী হয়েছে। সমর্থকদের উচ্ছাসের পাশাপাশি সম্প্রচার স্বত্ত থেকেও প্রচুর পরিমান রাজস্ব আয় করছে ভারত।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলি অলিম্পিকে ক্রিকেটের অন্তর্ভূক্তি সম্পর্কে বলেছেন, ‘এটা অনেকটাই উইন-উইন সিচুয়েশন ছিল। আমি মনে করি ক্রিকেটের মত এত দ্রæত গতিতে কোন খেলাই বিশে^ জনপ্রিয়তা লাভ করেনি। অলিম্পিকের মত সর্বোচ্চ ইভেন্টে ক্রিকেটের অন্তর্ভূক্তি একে আরো অনেকদুর এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মিতালি রাজ বলেছেন, ‘অলিম্পিকে স্বর্ণ পদকের জন্য খেলোয়াড়রা প্রতিদ্ব›দ্বীতার সুযোগ পেয়েছে যা সত্যিই বিশেষ কিছু। এর মাধ্যমে আরো বেশী সমর্থক ক্রিকেটের প্রতি আকৃষ্ট হবে।’