তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিপ্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, উন্নয়ন-সুশাসন ও নিরাপত্তা উপহার দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার শুধু প্রতিশ্রুতি দেয় না অক্ষরে অক্ষরে সেই প্রতিশ্রুতি পালন করে।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে নাটোরের সিংড়া উপজেলার ১ নং শুকাশ ইউনিয়নের দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও দূর্গাপুর আইডিয়াল টেকনিক্যাল হাই-স্কুল ও কলেজ-এর নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বিগত চৌদ্দ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারে আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে সিংড়ার পাঁচ লক্ষ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছি। সিংড়ার পাঁচ লক্ষ মানুষকে আমি আমার পরিবারের সদস্য বলে মনে করি, এবং সেই পরিবারের সদস্য হয়েই আমি সেবা করার চেষ্টা করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমার গ্রাম আমার শহর; একটি গ্রামে পাঁচটি নাগরিক সেবা যদি নিশ্চিত করা যায় তাহলে ঐ গ্রামের মানুষ আর শহরমুখী হয় না। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, গ্রামে যাওয়ার পাকা রাস্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং ইন্টারনেট, এই পাঁচটি সুবিধাই আজ বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে নিশ্চিত করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরো বলেন, বাংলাদেশে একদিনে ৩৬ হাজার প্রাইমারী স্কুলকে সরকারীকরণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর আর কোন রাষ্ট্রনায়ক বা সরকারপ্রধান দীর্ঘ ২৯ বছরে আর কোনো প্রাইমারি স্কুলকে সরকারীকরণ করেননি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা এসে একদিনে ২৬ হাজার স্কুল সরকারীকরণ করলেন, লক্ষাধিক শিক্ষককে বেতন দিলেন, প্রাইমারী স্কুলে ভর্তির হার মাত্র ৪২ শতাংশ থেকে ৯৮ শতাংশে উন্নীত করলেন। এখন একটা প্রান্তিক দরিদ্র্য পরিবারের সন্তানও স্কুলে যাচ্ছে, বিনামূল্যে বই পাচ্ছে কলেজ পর্যন্ত। শুধুমাত্র আমাদের সিংড়াতে ১০৫ টি প্রাইমারী স্কুলকে সরকারীকরণ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাকা ভবন নির্মাণ করে দিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের আগে সুকাশ ইউনিয়নে প্রতিটা রাত পাহারা দিতে হতো ডাকাতের ভয়ে, মা বোনেদের নিরাপত্তার জন্যে শহরে বাসা ভাড়া করে রাখতে হতো। এই চৌদ্দ বছরে ডাকাতের ভয়ে আর গ্রাম পাহারা দিতে হয়নি। আমরা আওয়ামী লীগের সরকারের মাধ্যমে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে উন্নয়ন-সুশাসন-নিরাপত্তা উপহার দিতে পেরেছি।
এ সময় ১নং শুকাশ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আজাহারুল ইসলাম, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন মোফা, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব ইসলাম জুয়েল সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি।