রংপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী মেরিল সুমন,ব্লাক রুবেলসহ মাদক ও একাধিক অস্ত্রসহ তালিকাভুক্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে রংপুর মহানগর পুলিশ।
১০ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে মহানগর পুলিশের কোতয়ালী ও পরশুরাম থানার পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।
এসময় পাইপগান, দেশীয় অস্ত্র এবং ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয় মোবাইল ফোন ও সাদা রংয়ের ১ টি প্রাইভেট কার। গ্রেফতার ব্যক্তিদের নামে হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক ও অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতার কৃতরা হলেন, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী রাজিব হোসেন সুমন ওরফে মেরিল সুমন, নওশাদ হোসেন রুবেল ওরফে ব্ল্যাক রুবেল, ফিরোজ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, মোতাসিম বিল্লাহ ওরফে লিওন। গ্রেফতার প্রত্যেকের নামেই একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান ডিসি।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর পুলিশের ডিসি আবু মারুফ হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে ডাকাতির উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী মেরিল সুমন ও তার গ্রুপের ১০-১২ জন সশস্ত্র অবস্থায় একত্রিত হয়েছে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে আরপিএমপি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নগরীর ২৪ নং ওয়ার্ডের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে গ্রেফতার সন্ত্রাসীরা। এসময় বিল্লাহ (২৭), আব্দুল মমিন (৪২), জুনায়েদ হোসেন অনিক (২৫), সাজ্জাদ হোসনে (২৪) পালিয়ে গেলেও ১৫ মামলার আসামী তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী রাজিব হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ঘটনাস্থল থেকে ১টি পিস্তল, ১৬ পিচ ইয়াবা, লোহার রড, স্টিলের পাইপ, চাপাতি, ১টি চাইনিজ কুড়াল, লাইনলের রশি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের আরেক অভিযানে কোবারু এলাকার মামা ভাগিনার মোড় থেকে একটি সাদা প্রাইভেট কার তল্লাশি চালিয়ে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী নওশাদ হোসেন রুবেল ওরফে ব্লাক রুবেলকে আটক করা হয়। গাড়িটি তল্লাশি চালিয়ে ১ টি পাইপ গান, ১ টি চাইনিজ কুড়াল, ২টি স্টিলের ছোড়া, ৮ পিস ইয়াবা, মোবাইল ফোন ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয় প্রাইভেট কারটি। এসময় প্রাইভেট কারের পেছনে ২ টি মোটরসাইকেলে থাকা ৩-৪ জস সন্ত্রাসী পালিয়ে যায়। পৃথক অভিযানে গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী ও পরশুরাম থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও মাদক আইনে মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছেন।
মহানগর পুলিশের ডিসি (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন আরও বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিদের নামে হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক ও অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । একইসাথে এরকম অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।