স্ত্রীর মর্যাদার দাবীতে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আলম মিয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগি এক নারী।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় রংপুর সিটি প্রেসক্লাবে সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগি মর্জিনা বেগম মেরি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার পূর্বের স্বামীর সাথে পারিবারিক সমস্যা সংক্রান্ত শালিসি বৈঠকে চেয়ারম্যান নুর আলম মিয়া তালাক দেয়ার রায় প্রদান করে ছাড়াছাড়ি করে নেন আমাকে। এরপর থেকে তিনি আমার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করেন এবং সুখে রাখবে, কখনও কষ্ট দিবেন না এমন প্রলোভন দেখিয়ে ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপন করতে চান। এক পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম মিয়ার ভালোবাসার মায়াজালে আকৃষ্ট হয়ে যাই। তার প্রথম স্ত্রীর সাথে সাংসারিক সমস্যার কথা জানিয়ে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখায়। সরল মনে পরবর্তিতে ২০১৮ সালের কোর্ট এফিডেভিট ও রেজিষ্টারের মাধ্যমে মুসলিম শরীয়াহ মোতাবেক ৫ লাখ ১ হাজার ১০১ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই।
বিয়ের পর আমার বাবার বাড়িতে নুর আলম মিয়া দিনের বেলা এসে সময় কাটিয়ে চলে যায়। এভাবে ৬ মাস অতিবাহিত হলে, আমি স্ত্রীর মর্যাদা চাইলে, নুর আলম মিয়া আমাকে এড়িয়ে চলা শুরু করে। স্ত্রীর মর্যাদার দাবীতে তার বাড়িতে গেলে সে উপস্থিত থেকে তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের মাধ্যমে আমাকে মারডাং করে। এতে আমি রক্তাত্ব হই। পরে আমাকে উদ্ধার করে আমার পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নিলে নুর আলম মিয়া আবারো ক্ষমা চেয়ে আমার সাথে যোগাযোগ শুরু করে এবং স্ত্রীর মর্যাদা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ২-৩ মাস যেতে না যেতেই আবারো আমাকে এড়িয়ে চলা শুরু করে দেন। এবারে নুর আলম মিয়া ফেসবুকে ব্লক ও মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেন। সেই সাথে আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে বলে প্রচার করতে থাকেন।
এমতাবস্থায় আমি এখন দিশেহারা। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
এ বিষয়ে কল্যাণী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আলম মিয়া মারডাং এর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্ত্রী হিসেবে মর্যাদা দেয়ার জন্যই তাকে বিয়ে করেছি। আর কিভাবে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে হবে, তা আমার জানা নেই।