যুবসমাজই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল কারিগর – স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন তা বাস্তবায়নে যুবসমাজের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আজকের যুব সমাজই ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে। স্মার্ট নাগরিক ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করা যাবে না। নাগরিকদের স্মার্ট হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সকল ক্ষেত্রে আমাদের স্মার্ট হতে হবে। এই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিবে কে দিবে প্রশ্নরেখে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, আজকের যুবসমাজ ও ছাত্রছাত্রীরাই জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে সে নেতৃত্ব দিবে।

তিনি রবিবার (১ অক্টোবর)  ঢাকায় আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এ ড. আনোয়ার আবেদিন লেকচার সিরিজে “স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রা : বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ” শীর্ষক আলোচনায়  মূলবক্তা হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এআইইউবি এর ভাইস চ্যান্সেলর ডঃ কারমেন জেড. লামাগনা, আইবিএ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডঃ এর ফেরহাত আনোয়ার, জয়তুন বিজনেস সলিউশনের চেয়ারম্যান মোঃ আরফান আলী, বাংলালিংকের কর্পোরেট এবং রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স এর চীফ তাইমুর রহমান, এআইইউবি এর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডঃ মোঃ আব্দুর রহমান।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। তাঁর আজীবনের আকাঙ্ক্ষা ছিল দেশের আপামর জনসাধারণের ভাগ্যের পরিবর্তন করা। ঘাতকের নির্মম বুলেট জাতির পিতাকে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে না দিলেও তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ আর আমাদের স্বপ্ন নয়, তা বাস্তবায়িত হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন নাগরিক সেবা এখন অনলাইনে পাওয়া যায়। পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করার ফলে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে চলা ভবিষ্যতে সহজ হবে। আজকের এই শিক্ষার্থীরাই ভবিষ্যতে স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক হবে বলে এ সময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সারাদেশে গ্রামীণ অবকাঠামো, রাস্তাঘাট উন্নয়ন, স্বাস্থ্যকর পানীয় জল সরবরাহ করে থাকে। এই খাতে বিগত পনেরো বছরের উন্নয়নের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। আমাদের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা, ২১০০ সালের মধ্যে ডেলটা প্ল্যান বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। এসবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ফলে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ২০০৯ সালে “ডিজিটাল বাংলাদেশ” স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তখন অনেকেই পিছনে এর সমালোচনা করেছিল কিন্তু উনি তা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। আজকে স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন তিনি আমাদের দেখিয়েছেন তা বাস্তবায়নে শিক্ষক শিক্ষার্থীর সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রয়াস নিতে হবে। সেজন্য জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যায় আমাদেরকে পারদর্শী হতে হবে। কারণ এ দেশটা আমাদের সবার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলার স্বপ্ন তখনই সত্যি হবে যখন আমরা একটি উন্নত, সমৃদ্ধশালী এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles