নরসিংদীর মাধবদীতে ৬০০ টাকায় গরু মাংস বিক্রি করে আলোচনায় পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন প্রধান মানিক
সিয়াম সাধনার মাস রমজানের মধ্যে দ্রব্যমূলের ঊর্ধগতি সাধারণ ক্রেতারা ক্রয় করতে হিমশিম খাচ্ছে এর মধ্যে অসাধু ব্যবসায়ীরা রয়েছেই।
যেহেতু মাধবদী একটি শিল্প শহর এখানে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাজ করেন রমজানকে ঘিরে তারা যেন একটু স্বস্তিতে কেনাকাটা করতে পারেন সেই লক্ষ্যে প্রতিদিনই বাজার মনিটরের নেমেছেন পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন প্রধান মানিক ।সঠিক ওজন ও গুণগত সম্পন্ন পণ্য বিক্রয় এবং দাম যাতে বেশি না নিতে পারে সেও পারে তিনি হুশিয়ার করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের
।তাছাড়া ওজনের কম দেওয়ায় এবং মাফ দেয়ার যন্ত্রে সুতা বেদে মাপের কাটচুপি করায় সময় পৌরসভার সেক্রেটারি ইন্সপেক্টর শাহিন আক্তর বাজার পরিদর্শন কাল ব্যবসায়ীদের কর্মকান্ড হাতেনাতে ধরা পড়ে পরবর্তীতে তার মুরগির দোকান সিলগালা করে দেন পৌর মেয়র।
গরুর মাংস প্রতি দোকানে । ৮শত টাকা বিক্রি করা হলে তিনি গিয়ে ৭৫০ টাকা দাম নির্ধারণ করেন।
এ টাকা দিও সাধারণ মানুষ মাংস কিনে খেতে হিমশিম খাচ্ছে এই উপলব্ধি থেকে তিনি নিজ উদ্যোগে পৌরসভার সামনে গরু জবাই করে ৬০০ টাকা কেজি দ্বারা বিক্রি করার ঘোষণা দেন
সেই লক্ষ্যে আজ শুক্রবার প্রতিটি ধাপের পাঁচটি গরু জবাই করে এবং ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে। এবং এটি চলমান থাকবে জানান।
অল্প টাকায় নিজেদের সামনে জবাই করা মাংস কিনতে পেরে খুশি হন নিম্নয়ের মানুষ শুধু তাই নয় পৌর মেয়রেরএর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সুশীল সমাজ। সাধারণ ক্রেতারা জানান ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি ধরে মাংস কেনার ক্ষমতা আমাদের নেই পৌর মেয়রের এই উদ্যোগের কারণে আমরা মাংস কিনতে পারছি।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন প্রধান মানিক বলেন সাধারণ মানুষ ও গরিবরা যাতে এ রমজানে গোস্ত কিনে খেতে পারে সে জন্য আমার এই উদ্যোগ আমার এখানে ১০০ গ্রাম থেকে শুরু করে যার যতটুকু প্রয়োজন সে ততটুকুই গোস্ত ক্রয় করতে পারবে এবং এটি চলমান থাকবে। প্রতিটা ওয়ার্ডে এভাবে বিক্রয় করা যায় কিনা উদ্যোগ নেওয়া চেষ্টা করছি
তাছাড়াশহরের বিত্তবান রও যদি তার নিজ এলাকায় এভাবে মানবতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে হয়তো আরো ভালো হতো ।