- নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউপি’র ফতেপুর গ্রামের মৎসচাষী মো. মুখলেছ উদ্দিনের ৩টি ফিশারির শিং মাছ ঝাঁকে ঝাঁকে মরে ভেসে উঠছে।
ঘটনাটি বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালের দিকে ঘটেছে বলে জানা গেছে। ফিশারির মালিক মো. মুখলেছ উদ্দিনের পিতা মো. মোসলেম উদ্দিন বলেন- প্রতিদিনের মতো এই দিনেও ফিশারিতে খাবার দেয়া হয়। মাহে রমজানের কারণে ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরী হয়। ঘুম থেকে উঠে আমার পরিবারের লোকজন ফিশারির কাছে যেতেই দেখে ৩টি ফিশারির শিং মাছ ঝাঁকে ঝাঁকে মরে ভেসে উঠছে। তখন তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে আমিসহ আশেপাশের লোকজন এসে দেখে ঘটনা তাই। তিনি আরো বলেন আমার ছেলে ধারদেনা করে ১২ কাঠা’র ৩টি ফিশারিতে শিং মাছ চাষ করেছিল। একটা ফিশারির মাছ বিক্রি করা হয়েছিল ৯হাজার টাকা মণ ধরে এতে প্রায় ১৫০ মণ শিং মাছ ছিল আগামীকাল নেয়ার কথা, বাকি অন্য ২টি ফিশারির শিং মাছও কয়েকদিন পরেই বিক্রির উপযোগী হয়ে যেত। কিন্তু ফতেপুর গ্রামের আবু তাহেরের হুকুমে, আনজু মিয়া, নজরুল ইসলাম, রাসেল মিয়া, মিজান, রবি, লিটন গংরা পূর্বশত্রুতার জেরে আমাদের ৩টি ফিশারিতে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি করেছে এই চক্রটি। ধারদেনা আর মাছের খাদ্য দোকানের বাকি এখন কিভাবে পরিশোধ করব ভেবে পাচ্ছি না।
রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউপি’র চেয়ারম্যান মো. লুৎফুর রহমান আকন্দ বলেন- কিছুদিন ধরে দুই পরিবারের মাঝে বিরোধ চলছে এবং থানায় মামলাও আছে কিন্তু মাছের কি দোষ ছিল যে বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলতে হবে। তবে আসলে কি কারণে মাছগুলো মরেছে আমিও সহযোগিতা করে ল্যাবে পাঠিয়ে পরীক্ষা করে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কেন্দুয়া থানার এস আই মো. তানভীর হাসান, এবং ফেমই ফাঁড়ির এস আই মো. সাদ্দাম হোসেন।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মো. আজহারুল আলম মুঠোফোণে জানান- ফিশারির পানি পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অক্সিজেন কম থাকার কারণে এটি ঘটতে পারে তবে, পানি ও মাছ ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠালে এর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
অভিযুক্ত মো. আবু তাহেরের সাথে মুঠোফোণে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- আমরা গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি তাহলে আমরা বা আমাদের পরিবারের লোকজন কিভাবে তাদের ফিশারিতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করেছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট।