একসাথে একজন সফল উদ্যোক্তা এবং একটি এমপিও কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ। যার কথা বলছিলাম তিনি হলেন নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউপি’র বাহাগুন্দ গ্রামের আলহাজ আবুল কাশেমের মেয়ে এবং নেত্রকোণা সদর উপজেলার মারাদিঘী গ্রামের সফল তরুণ উদ্যোক্তা মোহাম্মদ মাহাবুবুল ইসলাম পরশের স্ত্রী।
অধ্যক্ষ মুছলিহা আক্তার এস সি পাশ করার কিছু দিন পরেই পারিবারিক ভাবে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্বামী তরুণ উদ্যোক্তা মোহাম্মদ মাহাবুবুল ইসলাম পরশের সংসার ঘুচিয়ে পরবর্তী নন্দীপুর কারিগরী কলেজ থেকে এইচএসসি, নেত্রকোণা সরকারি কলেজ থেকে বিবিএস (অনার্স) একই কলেজ থেকে এমবিএস ও এমবিএ কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন। স্বামী মোহাম্মদ মাহাবুবুল ইসলাম পরশও উচ্চ শিক্ষা শেষ করে দুলাল জর্দা ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হন। মুছলিহা আক্তার বর্তমানে কেন্দুয়া উপজেলার প্রাইম ডিজিটাল ইনস্টিটিউট (বিএম কলেজ) ও পরশমনি কিন্ডারগার্টেন এ কর্মরত আছেন এবং সেই সাথে একজন সফল উদ্যোক্তা।
মিথ্যা হয়রানি এবং ভুক্তভোগীর শিকার নেত্রকোণা পৌরশহরের নিউটাউনের বাসিন্দা পরশ-মুছলিহা দম্পতি বলেন- আমরা সমাজে শিক্ষিত ও উদ্যোক্তা পরিবার হিসেবে পরিচিত। আমাদের পরিবারের অনেকেই সরকারি বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছেন। তাছাড়াও আমাদের একটি ৩০-৩৫ জনের সংগঠন রয়েছে আমাদের এই সংগঠনে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন উর্ধতন কর্মকর্তা রয়েছেন। আমরা সবাই মিলেমিশে ঢাকায় জায়গা ক্রয় করে ফ্ল্যাট তৈরি করে বিক্রি করি। এছাড়াও আমাদের এলাকায় নিজস্ব কৃষি জমি আবাদ, পোল্ট্রি , গবাদি পশু ও মৎস্য খামার রয়েছে। সঠিকভাবে তদারকি করে এসব ব্যবসা পরিচালনা করে নিজেরা যেমন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছি, ঠিক তেমনি কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি করছি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীদার হতে চেষ্টা করছি। সমাজের অন্যদেরও উচিত নিজে উদ্যোক্তা হয়ে সমাজ ও দেশের জন্য কিছু করা। কিন্তু আমাদের আর্থিক উন্নতি দেখে এলাকার একটি দুষ্টচক্র, কুচক্রী মহল আমাদের পেছনে লেগেছে সমাজে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। নেত্রকোণা সদর উপজেলার মো. মাহবুবুর রহমান হিমেল, মো. সাজ্জাত ও মো. সাহেদ এই তিনজনের একটি চক্র মিলে বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে আমাদের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। অবৈধ অর্থ এবং অঢেল সম্পত্তির মালিক বলে আমাদের নামে প্রশাসন ও দুদকসহ নানা জায়গায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। কিন্তু আমাদের সবকিছুই বৈধ থাকায় এতে কোন ফল হয়নি তাদের। বিভিন্ন সময়ে চাঁদা চেয়ে হুমকি দিচ্ছে তারা। আমরা চাঁদা দেইনি বলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই কুচক্রী মহলটি সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করাচ্ছে। এতে আমরা সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছি এবং নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
এর প্রতিবাদে আমরা গত ২৩ মার্চ নেত্রকোণায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলনও করেছি।
পরশ-মুছলিহা দম্পত আরো বলেন- আমরা নিয়মতি সরকারি আয়কর দিচ্ছি। প্রশাসনের কাছে আমাদের আকুল আবেদন আপনারা আমাদের সম্পদ ও আয়ের উৎস যাচাই করে দেখুন। অবৈধ আয়ের কোন উৎস পেলে আপনারা আমাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন। সেইসাথে আমরা অপরাধ না করে থাকলে ওই দুষ্ট চক্রটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
এবিষয়ে জানতে অভিযোগকারী নেত্রকোণা সদর উপজেলার বাসিন্দা মো. মাহবুবুর রহমান হিমেলের সাথে মুঠোফোণে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- নেত্রকোণায় পরশ-মুছলিহা দম্পত্তি সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তারা শতকোটি টাকার মালিক। বিষয়টি নজরে আসলে দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছি এবং আদালতে স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলা করেছি। তাদের দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে এবং আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে গত ২৩ শে মার্চ এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন এই দম্পতি। তাই আমরাও পরশ-মুছলিহা দম্পতির সকল ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অপপ্রচার বন্ধ করার জন্য ২৭ মার্চ নেত্রকোণা সদরে সংবাদ সম্মেলন করেছি এতে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।