রংপুরের বদরগঞ্জে এক হতদরিদ্র দিনমজুর মিথ্যা সাজানো মামলায় ৫দিন কারাবাস ভোগ করে এখন বিচার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।সুশিল সমাজের ব্যক্তিরা বলছে এটা অমানবিক ও মানবাধিকার লংঘন করা হয়েছে হতদরিদ্র এই দিনমজুর প্রতি।
ভুক্তভোগী হতদরিদ্র ঐ দিনমজুরের নাম আরিফুজ্জামান কামরু।তিনি লোহানীপাড়া ইউনিয়ন মাধাইখামার গ্রামের আনছারআলী ছেলে।
মিথ্যা সাজানো অভিযোগে লিখা আছে গত ১৬/২/২৩ লোহানীপাড়া ইউনিয়ন কাঁচাবাড়ির হাটখোলা এলাকায়
সাজবুল নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করছে আরিফুজ্জামান কামরু।এ ঘটনায় সাজবুল বদরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে আটক করেন আরিফুজ্জামান কামরুকে। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন পুলিশ।
কিন্তুমামলার তদন্ত কর্মকতা ও ঘটনাস্থলে সশরীরে উপস্থিত থেকে অন্তত ৪থেকে ৫জনের মুখে ঘটনাটির ভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। ঘটনার সময় অারিফুজ্জজামান কামরু কাঁচাবাড়ি হাটখোলা এলাকায় একা অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে দাড়িয়ে ছিল এ সময় আরিফুল নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্ব ফিল্মি স্টাইলে সাজবুল, মারজুল,সাদরাতুল আরো দুই একজন মিলে আরিফুজ্জামান কামরু উপর হামলা চালায় কামরুরমুখে গালে পিটিয়ে জখম করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাঁচাবাড়ি হাটখোলা এলাকায় এক ব্যক্তি বলেন, অপরাধ একজন করলো আর পুলিশ ধরি নিগাইল কামরুক দেশে আইন অন্ধ হয়ে পড়ছে।গরিব মাইশের বিচার নাই।তিনি আরো বলেন সাজবুল নিজের হাত নিজে কাটি কামরুক ফাঁসবার বলি এ মিথ্যা সাজানো মামলা করছে থানাত।
সাজবুল বাড়ি কাঁচাবাড়ি মৌলভিপাড়া গ্রামে।
আরেক জন্য দোকানদার বলেন,নিরপরাধ আরিফুজ্জামান কামরু ও সাজবুল খালু ভাগ্নার সম্পর্ক।হামলায় নেতৃত্ব দানকারী আরিফুল আর সাজবুল সম্পর্কে মামা ভাগ্না।মূলত তাদের দীর্ঘদীন জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।
ঘটনার সময় উপস্হিত ছিলেন সন্ধায়ারডাঙ্গার এক ব্যক্তি বলেন,কামরু একা আর ওরা ছিলো ৪ থেকে ৫ জন একজন লোক কখনো ৪থেকে ৫জন সঙ্গে পারবেনা।তিনি আরো বলেন,সাজবুল ছেলেটা নিজের হাত নিজে কেটে দোষ দিয়েছে কামরুর।বিষয়টি জঘন্য কাজ। এর নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার।
বদরগঞ্জ উপজেলা প্রভাবশালী এক ছাত্রলীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,ঘটনাটি আমিও শুনেছি মিথ্যা ও নিজে নিজে হাত কেটে দোষ দিয়েছে অন্যার উপর। তিনি আরো বলেন,একজন ক্ষমতাবান ব্যক্তি থানার ওসিকে ফোন দিয়ে মামলাটিকে প্রভাবিত করে।
মানবাধিকার সদস্য এসএম সাদ্দাম হোসেন বলেন, দেশের আইনের প্রতি মানুষের আস্হা হারিয়ে ফেলছে।নিরপেক্ষ তদন্ত শব্দটি আইনের শাসন থেকে দুর্বৃত্ত হাতে চলে যাচ্ছে, একজন মানুষ অন্যায় না করে ৫দিন জেল খাটা ঘটনাটি সম্পূর্ণ অমানবিক।এর সুস্থ বিচার হোক।
ভুক্তভোগী ও নিরপরাধ আরিফুজ্জামান কামরু বলেন,আমি একা ওরা ছিল ৪থেকে ৫জন তা কিভাবে সম্ভব আপনি বলেন।আমার জীবন থেকে ৫টি দিন কেড়ে নিল আমি এর বিচার চাই মাননীয় এসপি সাহেব কাছে।আমি ৫দিন থেকে অসুস্থ।জেল খানায় ঠিকমতো খেতে পারিনি।খুব কষ্টে ছিলাম।আমি কালপিডদের শাস্তি দাবি করছি।
আরিফুজ্জামান কামরু বদরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এক চিকিৎসক বলেন,তার মুখে ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি।পরে তিনি ব্যবস্থাপত্র লিখে নিয়ে চলে যান হাসপাতাল থেকে।
মামলার তদন্ত কর্মকতা সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)মামুন বলেন,সাজবুলকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনাটি মিথ্যা ভিত্তিহীন ছিল।পরে এক পর্যায়ে মামুন বলেন আপনি উপরে স্যার এসআই মাহবুব সঙ্গে কথা বলেন,জানতে চাইলে মাহবুব বলেন,ভাই এ মামলাটি দুইজন তদন্তকারী একজন মামুন অপরজন এসআই অলিউর রহমান।তিনি আরো বলেন ভাই আমার খালি তদন্ত করি আর মামলা রেকডিং ক্ষমতা ওসি স্যারের।
বিনা দোষে ৫দিন কারাবাস একজন নিরপরাধ ব্যক্তি কেনো জেল খাটলো জানতে চাইলে এসআই অলিউর রহমান বলেন, ঘটনাটি এখনো তদন্ত চলছে তদন্ত চলাকালীন সময়ে আপনাকে কিছু বলা যাবেনা।